মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সম্পূর্ণ খবর

দক্ষিণবঙ্গ | Chinsurah: ১৫ তম হুগলি-চুঁচুড়া বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট

Pallabi Ghosh | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪ : ০০Pallabi Ghosh


মিল্টন সেন, হুগলি: পথ চলা শুরু হল ১৫ তম হুগলি চুঁচুড়া বইমেলার। শনিবার চুঁচুড়া ময়দানে পনেরো বার ঘণ্টা বাজিয়ে ১৫ তম হুগলি চুঁচুড়া বইমেলার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, লেখক রাজা ভট্টাচার্য, লেখিকা অর্পিতা সরকার এবং কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন বইমেলার সভাপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নরেন দে, মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিজয় মুখার্জী, গোপাল চাকি, কাৰ্য্যকরী সভাপতি ডাঃ অক্ষয় কুমার আঢ্য প্রমুখ। এদিন শুরুতে মেলার মূল প্রবেশ দ্বার থেকে ব্যান্ড সহযোগে অতিথিদের মেলার মূল মঞ্চে নিয়ে আসে চুঁচুড়া টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলের ছাত্ররা। উদ্বোধনী ভাষণ, চলে মেধা বৃত্তি প্রদান সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। ভায়োলিন বাজিয়ে উদ্বোধনী মঞ্চে অনুষ্ঠানের সূচনা করে টেকনো ইন্ডিয়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এদিন বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত বলেন, "বই ছাপার সময় লাভ লোকসান হিসেব করেন না প্রকাশকরা। তাই প্রত্যেক বছর এত এত বই ছাপা হয়। আর, সেই বই কিনে লাভবান হন পাঠক। বাড়ির ছোটোদের জন্য একটা অন্তত আলামারি না হোক তাক করে দিন।" এই কথা বলতে গিয়ে নিজের ছোটোবেলা কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমাদের বাড়িতে অনেক আলমারি ছিল। মা আমার আর ভাইয়ের জন্য একটা আলমারি এনেছিলেন। সেই আলামারিতে থাকতো নানা ধরনের বই। আর সেই বইয়ের জন্য বন্ধুরা ভিড় করত বাড়িতে।" উপস্থিত সকলের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, "ছোটোবেলা থেকেই বই পড়ার অভ্যাস করান। বর্তমান সময়ে চারদিক থেকে অনেক হাতছানি। সোশ্যাল মিডিয়া ডাকছে। টেলিভিশন ডাকছে। সিনেমা হল ডাকছে। রেস্তোরাঁ ডাকছে। সেই ডাক উপেক্ষা করে যাঁরা বইমেলায় আসেন, তাঁদের একজন এক হাজার জনের সমান।" উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চ থেকে নেমে সকলের সঙ্গে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন প্রচেত গুপ্ত। আসেন আজকাল পত্রিকার স্টলে। এদিন বইমেলার যুগ্ম সম্পাদক গোপাল চাকি বলেছেন, এই বছর বেড়েছে স্টলের সংখ্যা। তিনি আশাবাদী বইয়ের বিক্রিও বিগত বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়বে। তাঁর দাবি সামগ্রিক ভাবে কলকাতা বইমেলার পর রাজ্যের অন্যতম সেরা বইমেলা হয়ে ওঠার লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে হুগলি চুঁচুড়া বইমেলা। মেলার তরফে এ বছর অনাথ আশ্রমের বাচ্চাদের নিয়ে নতুন উদ্যোগ "সবার হাতে বই, সবার জন্য বই"। অনাথ শিশুদের মেলায় আনা হবে। তারা তাদের পছন্দ মতো বই কিনবে, দাম মেটাবে মেলা কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে চন্দননগর কমিশনারেটের স্পর্শ"র মাধ্যমে আয়োজন করা হবে প্রবীণ নাগরিকদের স্মৃতি রোমন্থন অনুষ্ঠান। গত বছর থেকে মেলায় নবতম সংযোজন কেরিয়ার কাউন্সেলিং প্যাভিলিয়ন। রাজ্যের প্রথম সারির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গুলিকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্যাভিলিয়ন। একইসঙ্গে রয়েছে আর্ট গ্যালারি, লিটল ম্যাগাজিন প্যভিলিয়ন এবং সেলফি জোন সহ আরও অনেক কিছু।
ছবি: পার্থ রাহা




বিশেষ খবর

নানান খবর

শীঘ্রই আসছে...

নানান খবর



সোশ্যাল মিডিয়া



12 23